সাবেক আইজিপির চাপে এসপি মাসুদের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ

HEALTH CARE ADVICE
By -
0


 অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। ফাইল ছবি


অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় তৎকালীন আইজিপি এবং র‍্যাবের ডিজির চাপে কক্সবাজারের সেসময়কার এসপি মাসুদ হোসেনের নাম বাদ দিতে হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বাদীর সহযোগী সাবেক সেনা কর্মকর্তারা।*



আজ সোমবার দুপুরে হাইকোর্টের রায়ে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ অভিযোগ করেন তারা। 

অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের সংগঠন রাওয়ার সাবেক সেক্রেটারি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোশাররফ হোসেন বলেন, তৎকালীন আইজিপি বেনজির আহমেদ এবং র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের কারণেই মামলা থেকে এসপি মাসুদের নাম বাদ দিতে হয়। 


তারা বলেন, পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারেন না তৎকালীন এসপি মাসুদ হোসেন। এসপি মাসুদকে বিচারের আওতায় না আনতে পারায় আক্ষেপ জানান মামলার বাদী ও মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। অবসরপ্রাপ্ত লে.কর্নেল মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘মামলা একটা সমঝোতা করতে হয়েছিল, চার্জশিট চূড়ান্ত কিন্তু চার্জশিট দিবেন না কারণ এসপি মাসুদের নাম বাদ দিতে হবে। তিনদিন মিটিংয়ের পরে আমরা বাধ্য হয়েছি মেনে নিতে।’ *



বহুল আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যায় ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের দেওয়া ৬ আসামির যাবজ্জীবনও বহাল রাখা হয়েছে। রায়ে সন্তোষ জানিয়েছে সিনহার পরিবার ও রাষ্ট্রপক্ষ। 

কক্সবাজারের শামলাপুর চেকপোস্টে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যার ঘটনা নাড়া দেয় সারা দেশে। পুলিশের গুলিতে এই চৌকস সাবেক সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুতে প্রশাসনসহ সারা দেশে শুরু হয় তোলপাড়।*



২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে থামানো হয় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের গাড়ি। দু’হাত উঁচু করে গাড়ি থেকে নামলেও নিরস্ত্র সিনহাকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করে পুলিশের সদস্যরা। হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তোলা হয় মাদক বহনের অভিযোগ। তবে তদন্ত ও বিচার শেষে টেকনাফের তৎকালীন ওসি প্রদীপ ও  পরিদর্শক লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড এবং আরো ছয় আসামির যাবজ্জীবন সাজা দেয় কক্সবাজার আদালত। মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে সোমবার বিচারিক আদালতের রায় অপরিবর্তিত রাখে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ।



Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)